মালয়েশিয়ায় এবার মার্কেট, হোটেল ও রেস্টুরেন্টে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগ ও কুয়ালালামপুর সিটি হল (ডিবিকেএল) যৌথভাবে রাজধানীর লোরং হাজি তাইব এলাকায় এ অভিযান চালায়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ২১ জনই বাংলাদেশি নাগরিক।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সিনার হারিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অভিযান চলাকালে কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি টের পেয়ে বেশিরভাগ বিদেশি ব্যবসায়ীই পালিয়ে যায়, ফলে অনেক স্টল খালি হয়ে পড়ে থাকে। কেবল অল্পসংখ্যক স্থানীয় ব্যবসায়ী ওই স্থানে অবস্থান করছিলেন।

কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, লোরং হাজি তাইব এলাকায় মার্কেট ও রেস্টুরেন্টে মোট ২৭ জনকে তল্লাশি করা হয়। অভিযানে একজন নারীসহ মোট ১২ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি, একজন ভারতীয়, একজন পাকিস্তানি এবং দুজন ইন্দোনেশিয়ান। তাদেরকে কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ও ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন অ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

একইদিন দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলেও অভিযান চালানো হয়। সেখানে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে মোট ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যার মধ্যে ১৩ জন নারী। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১৩ জন বাংলাদেশি, ১২ জন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন নেপালি রয়েছেন।

এছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগে জড়িত সন্দেহে দুইজন স্থানীয় নাগরিককেও আটক করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এ ধরনের কঠোর অভিযান নিয়মিত চালানো হলে বিদেশিদের বেআইনি আধিপত্য কমবে এবং স্থানীয়রা স্বস্তি ফিরে পাবে।